"আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব।"
Published : 21 Jan 2025, 11:47 PM
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে
জার্মান চ্যান্সেলর এই প্রতিশ্রুতি দেন।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোস থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওলাফ শলৎসকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে অবহিত করেন ইউনূস। সেসময় ওলাফ শলৎস বলেন, "আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব।"
প্রধান উপদেষ্টা জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন, তিনি একটি ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা ছয় কমিশনের জমা দেওয়া সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক দলগুলো ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নামে একটি সনদে স্বাক্ষর করবে, যা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন জুলাই ও অগাস্টের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে ছিল জুলাই আন্দোলনের কারণ, বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি।
কীভাবে তরুণরা জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বছরের পর বছর ধরে চলা বাংলাদেশের ‘অপশাসনের অবসান ঘটাতে চেয়েছিল, সে কথা জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ১২ বছর বয়সী এক ছাত্র তার মাকে চিঠি লিখে আন্দোলনে যোগ দেয় এবং শহীদ হয়।
ইউনূস দুই দেশের মধ্যে আরও দৃঢ় ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য ব্যবসায়িক সুযোগ অন্বেষণের জন্য জার্মান ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আরও সুযোগ রয়েছে। আমরা হতে পারি আপনাদের কারখানা।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখনো সার্ক-এর ধারণাকে ধরে রেখেছে এবং এই আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নেপালের জলবিদ্যুৎ কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশকে উপকৃত করতে পারে এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে উত্তরণের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে, সে কথা জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির প্রস্তাবে ওলাফ শলৎসের সমর্থনও কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।