“অপরাধ করেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ন্যায়পাল নিযুক্ত করা গেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে,” বলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।
Published : 05 Jun 2024, 05:43 PM
বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে প্রতিকারের জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন করে অবৈতনিক ন্যায়পাল নিযুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার ইউজিসিতে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ন্যায়পালের ধারণাটি কার্যকর করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।”
পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী যে অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না, সে কথা তুলে ধরে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, “অপরাধ করেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ন্যায়পাল নিযুক্ত করা গেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে এবং অপরাধের ঘটনা ঘটলে তা প্রতিকারে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ না করেই নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে।”
তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।
তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা ‘যথেষ্ট অবহিত নন’– এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে তিনি বলেন, “আইনের বাধ্যবাধকতার বিষয়গুলো জানা না থাকায় তথ্য প্রদান করতে অনেকেই অনীহা দেখিয়ে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠানকেও অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।”
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণে দেশের ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিআই ফোকাল পয়েন্ট উপস্থিত ছিলেন।