মেট্রোরেল আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার যানজটের সমস্যা ৬০ শতাংশ কেটে যাবে বলে আশা করছেন ঢাকার বিদায়ী পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলছেন, যেখানে একটি শহরের আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়ক থাকার কথা, সেখানে ঢাকায় আছে মাত্র ৬ শতাংশ। এই পরিমাণ সড়কে যানবাহনের ধারণ ক্ষমতা দুই লাখ হলেও ঢাকা শহরে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ১৫ থেকে ১৬ লাখ যানবাহন চলে।
“এই সমস্যা থেকে ৬০ শতাংশ উত্তরণ সম্ভব, যদি মেট্রোরেল প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষে হয়।”
বৃহস্পতিবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিদায়ী পুলিশ কমিশনার। ট্রাফিক বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান।
গোলাম ফারুক বলেন, “ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যানজট নিরসনে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।”
ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ‘রোবটের মত’ দায়িত্ব পালন করে ঢাকার চাকা সচল রেখেছে বলে মন্তব্য করেন বিদায়ী কমিশনার।
তিনি বলেন, “একটি সভ্য ট্রাফিক ব্যবস্থায় চারটি ‘ই’ থাকা প্রয়োজন। পুলিশ সেখানে শুধু ল এনফোরর্সমেন্টের দায়িত্ব পালন করে। এর সঙ্গে এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভায়রনমেন্টের সমন্বয় করতে পারলে ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে গোলাম ফারুকের কর্মময় ও ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার। ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর ডিএমপির ৩৫তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খন্দকার গোলাম ফারুক। ৩২ বছর ৮ মাস ১০ দিনের চাকরি জীবন শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)