“বেশির ভাগ জায়গায় নিরাপত্তার কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যেতে পারছেন না,” বলছেন শাহজাহান সরদার।
Published : 18 Jul 2024, 07:52 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ৪ ঘণ্টায় অর্ধশত জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন আছে।
এসব ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা পাননি।
৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, বেলা ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তারা ৫০টির বেশি জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পেয়েছেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এসব আগুনের ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ফেইসবুকে লিখেছেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা চালিয়ে সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর দায় সরকারেরই। সরকার আলোচনার কোনো পরিস্থিতি রাখেনি।”
৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক পরিদর্শক সাত্তার বলেন, রামপুরার বিটিভি ভবন, পুলিশ চেকপোস্ট, উত্তরার আজমপুরে স্কুলে, বারিধারা স্টেট ইউনিভার্সিটি, মিরপুরে পুলিশ বক্স, মহাখালীতে দুর্যোগ ভবন, সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবনসহ ৪০টি জায়গায় আগুন লাগার খবর পান তারা। সবগুলো খবর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকেও তাদের কাছে আগুনের খবর আসে।
বিটিভির প্রধান প্রকৌশলী মাসুদ ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হঠাৎ করে তারা (আন্দোলনকারীরা) ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় পার্কিংয়ে থাকা গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেয়। পরে রিসিপশনেও আগুন দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসকে আমরা ডেকেছি, কিন্তু এখনও তারা আসেনি।”
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে রওনা দিলেও আন্দোলনকারীদের বাধায় গাড়ি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি বলে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা বিকাল ৩টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করার পরও বিটিভিতে ঢুকতে পারিনি। প্রচণ্ড সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি আমরা। পরে আমাদের গাড়ি সাড়ে ৪টার দিকে ফিরে আসে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শাহজাহান সরদার বলেন, “যেসব জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর বেশির ভাগ জায়গায় নিরাপত্তার কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যেতে পারছেন না।
“মিরপুর পুলিশ বক্সসহ ২/৩টি জায়গায় আগুন নেভাতে পারলেও বিটিভি ভবন, সেতু ভবনসহ অধিকাংশ জায়গায় নিরাপত্তার কারণে আমরা যেতে পারিনি।”