বর্ষবরণ উৎসবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল।
Published : 15 May 2015, 02:01 AM
তার ওই বক্তব্য ‘ন্যক্কারজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বুধবার একদল সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি শহীদুল হক পহেলা বৈশাখে যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘কিছু ছেলের দুষ্টামি’ বলে মন্তব্য করেন বলে একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, “পহেলা বৈশাখের দিন কিছু ছেলে দুষ্টামি করছিল- পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার এমন বক্তব্য ন্যক্কারজনক। এই বক্তব্যের ধিক্কার জানাই।”
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ‘পাল্টা আঘাত’ ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত ওই সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি হাসান তারেক সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বক্তব্য দেন।
সুলতানা কামাল বলেন, “নারীর উপর ক্রমেই হামলার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু হামলা প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
“যারা সেদিন দায়িত্বে ছিল তারা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার না করে নারীর উপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। সন্ধ্যার মধ্যে সকলকে ঘরে ফিরতে হবে-এমন নির্দেশনার মাধ্যমে দায় না নেওয়ার পরোক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে।”
পুলিশ মহাপরিদর্শককে নিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, “এই ধরনের অসভ্য লোকের দরকার নেই। সরকারের টাকায় পরিচালিত ব্যক্তিদের ঘটনার দায় নিয়ে বিদায় নিতে হবে।”
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “পুলিশের কথা শুনে অবাক হই। তারা বলে, এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। যারা লাঞ্ছিত হয়েছে তারা কি এসে অভিযোগ করবে?
“পুলিশের দায়িত্ব শুধু অপরাধীদের গেপ্তার করা নয়, অপরাধ সংঘটন হতে না দেওয়াও দায়িত্ব। কিন্তু অভিযোগ করেনি- একথা বলে তারা দায় এড়ানো চেষ্টা করছে। পুলিশ এ ধরনের ঘটনায় নিজেই জড়িত, তারা কী বিচার করবে?”
ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি হাসান তারেক বলেন, “ঘটনার একমাস পূর্ণ হলেও যৌন নিপীড়কদের ধরতে এখনো কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ নিজেদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।”
নিপীড়কদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।