মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন হয়েছে।
Published : 14 May 2015, 10:26 PM
রাজধানীর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক অভিভাবকের পক্ষে ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার আবেদনটি দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার আসাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই ঘটনায় কে কে জড়িত তা চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়েছে।”
রোববার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
‘মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল : শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিভাবকদের বিক্ষোভ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও আইনজীবী মাহমুদ হাসান রিট আবেদনটি করেছেন।
এতে শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরির্দশক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, রেক্টর ও মোহাম্মদপুর থানার ওসিসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ মে শিশুটিকে বিদ্যালয়ের পেছনে নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের থাকার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়েছিল এক ব্যক্তি, পরে অন্য শিক্ষার্থীদের চিৎকারে ছেড়ে দেয়।
গত মঙ্গল ও বুধবার দুই দিনই অভিভাবকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বিক্ষোভ থেকে ওই ঘটনায় জড়িতকে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানায়।
শাফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি।”
শনিবার স্কুলের সামনে অবস্থান ও মানববন্ধনের কর্মসূচি দেবেন বলে জানান শফিকুল
অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৮ মে ঘটনাটি শুনে মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“এই কমিটিকে তিন দিন সময় বেঁধে দেওয়া হলেও তারা আরও তিন দিন সময় চেয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শনিবারের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে এবং তা অনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হবে।”
দোষী হিসেবে কেউ চিহ্নিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।
এদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেউ মোহাম্মদপুর থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংশ্রিষ্ট শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগই আমরা পাইনি।”
তবে স্কুলের ‘সুনাম ক্ষুণ্ন’ করতে একদল অভিভাবক বিক্ষোভ করছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছেন বলে জানান ওসি।