শুল্ক ফাঁকি, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার ও আমদানিকারকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বেনাপোলে দুটি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বন্দর শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
Published : 03 Mar 2015, 10:46 AM
প্রতিষ্ঠানটি দুটি হলো-মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্স এবং মেসার্স কদর অ্যান্ড কোং।
সোমবার লাইসেন্স স্থগিতের এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে বেনাপোল শুল্কভবনের লাইসেন্সিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ও যুগ্ম কমিশনার আতিকুর রহমান জানান।
মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি এবং ভুয়া ব্যাংক চালান দিয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে কাস্টমস ডিউটির অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ ছিল।
এ বিষয়ে ঢাকার এক আমদানিকারকের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে এই এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান আতিকুর রহমান।
অন্যদিকে মেসার্স কদর অ্যান্ড কোংয়ের বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে আমদানিকারকদের টাকা পাচারের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
আতিকুর রহমান বলেন, “সম্প্রতি কয়েক আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ভারত থেকে ঘোষিত পণ্য না এনে পণ্যের ব্যাগে ছেড়া কাগজ, ইট, খোয়া আনার প্রমাণ পাওয়া যায় বন্দরে। এসব আমদানিকারককে অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে তাদের লাইসেন্সটি সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
প্রাথমিক তদন্তে দুই এজেন্টের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পাওয়ার পর তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।