কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায় ট্রাইব্যুনালে

আপিল বিভাগ থেকে প্রকাশিত হওয়ার দিনই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2015, 02:43 PM
Updated : 19 Feb 2015, 07:00 AM

বুধবার রাত ৮টার দিকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে এসে পৌঁছায় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, “পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি আমরা পেয়েছি, এখন আমরা পরিশিষ্টের তালিকাগুলো মিলিয়ে দেখছি। রাত ৮টার দিকে রায় আমাদের হাতে পৌঁছায়।”

তার আগে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পৌনে ৮টার দিকে আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দিয়েছি। ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রহণও করা হয়েছে।”

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ গত ৩ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করে। বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা বুধবার এই রায় প্রকাশ করে।

বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও  বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

একাত্তরে আল বদর বাহিনীর ময়মনসিংহ জেলা শাখার প্রধান কামারুজ্জামানকে ২০১৩ সালের ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে গতবছর ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় দেয়। বুধবার পূর্ণাঙ্গ রায়ে সই করেন বিচারকরা।

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মো. কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারির উদ্যোগ নিতে পারলেও রিভিউ হলে থেমে যাবে পুরো প্রক্রিয়া।

রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের মীমাংসা হওয়ার পর যে সিদ্ধান্ত হয়, তা কার্যকর হবে বলে আইনমন্ত্রীসহ আইনজীবীদের কথায় স্পষ্ট।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার আপিলের প্রথম রায় হওয়ার পর থেকে রিভিউ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। পরে এই বিতর্কের মীমাংসা হয় আপিল বিভাগের রায়ে।

বুধবার আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এখন তার সত্যায়িত অনুলিপি নিয়ে রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে করার সুযোগ পাবেন জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান।

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই রায় রিভিউয়ের আবেদন করতে চাইলে তা ১৫ দিনের মধ্যে করতে হবে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীকে।