দেশের ভিতরে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কতো সংখ্যক কল আদান-প্রদান হচ্ছে তা পরীক্ষায় ‘কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি’ এখনও চালু না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
Published : 17 Dec 2014, 10:23 PM
এ সম্পর্কিত দরপত্র প্রক্রিয়ায় বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসিকে দায়ী করেছে কমিটি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি (সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম-সিএমএস) সম্পর্কিত বর্তমান দরপত্র বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের জন্য বিটিআরসিকে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বিটিআরসি সিএমএস পদ্ধতি চালুর জন্য ২০১৩ সালের শেষদিকে দরপত্র আহ্বান করে। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ সপ্তাহের মধ্যে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতে হয়।
“অথচ এক বছর কেটে গেলেও বিটিআরসি এখনো কাউকে কার্যাদেশ দিতে পারেনি। বর্তমানে যে জটিলতা চলছে তাতে কোনো একটি পক্ষকে কাজ দিলে অন্য পক্ষ আদালতে মামলা করলে পুরো প্রক্রিয়াটি থেমে যাবে। সেজন্য কমিটি নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে বলেছে।”
বছর শেষে প্রতিষ্ঠানগুলো যে হিসাব দিচ্ছে, তাই সরকারকে মেনে নিতে হচ্ছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে সিএমএস পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মোবাইল ফোন অপারেটররা সিএমএস পদ্ধতি চালু করতে চায় না বলে বৈঠকে কমিটির সদস্যদের কেউ কেউ অভিমত দিয়েছেন বলে একটি বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বিটিআরসির অসাধু কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সিএমএস পদ্ধতি চালুর প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে চায় বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
এ পদ্ধতি চালু হলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সরকারকে অনেক বেশি রাজস্ব দিতে হবে বলেই এটা করা হচ্ছে বলে তাদের অভিমত।
ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মোয়াজ্জম হোসেন রতন ও কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত ছিলেন।