একাত্তরে নির্যাতিত নারীদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই মন্তব্য করে তাদের জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।
Published : 14 Dec 2014, 12:25 AM
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ‘শেষ হোক বীরাঙ্গনাদের বেদনার দিন, বীরাঙ্গনারাও মুক্তিযোদ্ধা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “সরকার বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করেই থেমে যাবে না। তাদের জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।”
“বীরাঙ্গনাদের ‘বীরমাতা’, ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা’ ইত্যাদি নামে সম্বোধন করা হলেও বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ‘বীরাঙ্গনা’ নামটি ঠিক রেখেই ‘বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের’ জন্য কাজ করবে সরকার।”
বীরাঙ্গনাদের তালিকা করার জন্য প্রতি উপজেলায় নারীদের দিয়ে কমিটি করে তাদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া যারা বীরাঙ্গনাদের নিয়ে কাজ করছেন তাদেরও গেজেটে বীরাঙ্গনাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে লেখক, সাহিত্যিক ও কলামনিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, “একাত্তরে নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের সেই সময়ে সমাজ চরমভাবে অবহেলা করেছে। তাই তাদের নামের তালিকা করা কঠিন ছিল। পরিবারগুলোও চায়নি।
“যে চার লাখ যুদ্ধশিশুর জন্ম হয়েছিল, তাদের অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ কয়েকটি দেশে দত্তক দিয়ে দেওয়া হয়। বীরাঙ্গনা মায়েরা সমাজের মূলস্রোতে মিশে গিয়েছিলেন। তবে সাধারণ পরিবারের নারীদের মিশতে দেওয়া হয়নি, তাদের নানাভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে।”
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক আবেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, লেখক এম. এ হাসান, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা, লন্ডনপ্রবাসী লেখক শাহমিকা আগুন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জের বেশ কজন বীরাঙ্গনা বক্তব্য দেন।
‘রাইজিং পাথ অব ওয়ার হিরোইনস’ নামের একটি সংগঠন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। বীরাঙ্গনাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি।