জাহাজের বর্জ্য তেল সংগ্রহের কার্যাদেশ পেতে একটি শিপিং কোম্পানিতে গিয়ে মহড়া দেওয়ার পর সংগঠনের চট্টগ্রামের এক নেতাকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
Published : 13 Nov 2014, 08:41 PM
বহিষ্কৃত জাকারিয়া দস্তগীর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর নগরীর আগ্রাবাদে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ভবনে থাকা ‘গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড’ নামের শিপিং কোম্পানিতে জাকারিয়া দস্তগীর প্রায় ৫০ জন অনুসারী নিয়ে মহড়া দেন।
গ্লোব লিংক সম্প্রতি একটি জাহাজের বর্জ্য তেল সংগ্রহের কার্যাদেশ স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের সদস্যকে দেয়। এ ঘটনা জানতে পেরে জাকারিয়া দস্তগীর ক্ষুব্ধ হন বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান।
দুপুরে জাকারিয়া তাকে ওই কাজ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে গ্লোব লিংকে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিলে কার্যাদেশ পাওয়া ব্যক্তির অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও সেখানে যায়।
উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে হাউস বিল্ডিং ভবনে জড়ো হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রামে গিয়ে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোর একদিন বাদেই এই ঘটনা ঘটার পর ত্বরিত প্রতিক্রিয়া দেখায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সভায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয় বলে দপ্তর সম্পাদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
“যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত শেষে তা প্রমাণিত হলে বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে। আর প্রমাণ না মিললে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হবে,” বলেন তিনি।
কী অভিযোগে জাকারিয়াকে বহিষ্কার করা হল- জানতে চাইলে শেখ রাসেল বলেন, “সেটা আপনারাই ভালো জানার কথা। নিশ্চয় আপনারা খোঁজ-খবর নিয়েছেন।”
এদিকে হাউস বিল্ডিংয়ের ঘটনায় পুলিশে কোনো পক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি বলে বন্দর থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
“বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে কোনো ভাংচুর বা মারামারি হয়নি। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগও করেনি।”