বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “পাবলিক পরীক্ষায় আমরা ৩২ সেট প্রশ্ন করব। প্রশ্ন যদি ফাঁসও হয় তবু শিক্ষার্থীদের বইয়ের সবকিছু পড়তে হবে।”
বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষায় চার সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের পর ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তবে এইচএসসির আরো কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার দুটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের এতগুলো ঘটনার কারণে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, ছাপানো, বিলি এবং সংরক্ষণে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
“প্রশ্নপত্র মডারেশন, প্রিন্টিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাপে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগের সুযোগ নেই। কোড ব্যবহার করা হবে।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সাদিক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম।
ছিলেন ১০ বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরাও।