জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আলাদা রঙের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Published : 11 Aug 2014, 09:28 PM
সোমবার কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
“শুধু জ্যেষ্ঠ নাগরিক নয়, আরো অনেকে এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে। প্রতিবছরই জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সংখ্যা বাড়বে।”
বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয়া হবে বলে নির্বাচন কমিশনার জানান।
তবে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ‘সিনিয়র সিটিজেন কার্ড’ দিয়ে থাকলে তাতে যে কোনো ধরনের তথ্যগত সহায়তা দেবে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, “মন্ত্রণালয় কিছু করতে চাইলে প্রয়োজনে নির্ধারিত সময়ে এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সহায়তা করা যেতে পারে।”
গত বছর ৬০ বছর বয়সীদের ‘প্রবীণ’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা, ২০১৩’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে, দেশে ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
বর্তমানে দেশে মানুষের গড় আয়ু ৬৮ বছর।
‘সিনিয়র সিটিজেন কার্ড’ তৈরির জন্য কোনো ধরনের সহায়তা কিংবা পরামর্শ রয়েছে কি না, মতামত চেয়ে ইসি সচিব বরাবর চিঠিও পাঠায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
তবে একই ধরনের এক রকম জাতীয় পরিচয়পত্রের ‘সার্বজনীনতা’ বজায় রাখতে চায় ইসি। গত বছরও মন্ত্রণালয়ের এ রকম প্রস্তাব এক দফা নাকচ করে দিয়েছিল সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তত্ত্বাবধানে ভোটারযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি সাদা কাগজের লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে। আগামী বছর থেকে স্মার্টকার্ড দেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।