ঈদে যানজট নিরসনে গাজীপুর পুলিশ প্রশাসন বিশেষ পরিকল্পনাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এ পরিকল্পনায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এক হাজারের বেশি পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
Published : 25 Jul 2014, 10:01 PM
পুরো এ বাহিনীতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৪ জন, সহকারী পুলিশ সুপার ৯ জন ও পরিদর্শক ১৮ জন এবং এসআই-এএসআই ১৫০ জন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন তার জন্য রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার থেকে জয়দেবপুর চান্দনা-চৌরাস্তা হয়ে শ্রীপুরের জৈনা বাজার পর্যন্ত, পূবাইলের মীরের বাজার থেকে টঙ্গী এবং আশুলিয়া থেকে চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে চন্দ্রা হয়ে স্কয়ার পর্যন্ত মোট ৩৮ পয়েন্টে ৩৮টি টিম থাকবে।
এসব টিমের প্রতিটিতে একজন এসআইর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের দল দায়িত্ব পালন করবে। তারা কোনো স্থানে যাতে গাড়ি দীর্ঘক্ষণ না দাঁড়িয়ে থাকে, অযাচিত পার্কিং না করে তা নিয়ন্ত্রণ করবে।
এসব পয়েন্টের মাঝ পথে মোটরসাইকেলযোগে মোবাইল ডিউটি করবে ১৯টি টিম। মোটরসাইকেল টিম গাড়ির ওভারটেক ও ঘন ঘন লেন পরিবর্তনজনিত যানজট নিয়ন্ত্রণ করবে।
এছাড়া বিশেষ গাড়িতে স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়ে ভ্রাম্যমাণ থাকবে আরো ১০টি টিম। ২৪ ঘণ্টা দুই শিফটে কাজ করবে ওইসব পুলিশ।
এসপি আরো জানান, মহাসড়কে গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে তা দ্রুত সারাতে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড়, জয়দেবপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা ও রাজেন্দ্রপুর মোড় এলাকায় তিনটি বড় রেকার মোতায়েন থাকবে।
সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, তদারকি ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জয়দেবপুর চান্দনা-চৌরাস্তায় মূল নিয়ন্ত্রণকক্ষ ছাড়াও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড়ে ২টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
এসব নিয়ন্ত্রণকক্ষে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়ে জেলার সকল পয়েন্ট মনিটরিং করবেন।
১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রাক ও ২৪ জুলাই থেকে মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
এসপি আরো বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজিতে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানো হবে। কেউ চাঁদাবাজি করলে, সে পুলিশ সদস্য হলেও সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।