আওয়ামী লীগ নেতা একেএম এনামুল হক শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় এক আসামি বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
Published : 15 Jul 2014, 07:57 PM
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে চার দিনের হেফাজতে নিতে পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর হাকিম হাসিবুল হকের তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন- হারুন, মেহেদী, মনির, জুয়েল ও নুরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম আশিকুর রহমানের কাছে মামলার অন্যতম আসামি রানা হাওলাদার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মুহিতুল বলেন, “এই বিচারকের খাসকামরায় দেয়া জবানবন্দিতে আসামি রানা এনামুল হক শামীম হত্যা চেষ্টায় নিজেকে এবং গ্রেপ্তার অপর আসামিদেরকে জড়িয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।”
পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার এই হত্যা মামলার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পাশাপাশি নাজমুলকে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করে পুলিশ। পরে রানার জবানবন্দি শেষে নাজমুলের সঙ্গে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম গত ১৯ জুন সকালে অফিস যাওয়ার সময় ধানমণ্ডি ইবনের সিনা হাসপাতালের পাশে হামলার শিকার হন।
হামলাকারীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করলে বাঁ হাতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শামীমকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরদিন ২০ জুন তার চাচা নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেন। ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে এক অংশীদার এ হত্যাচেষ্টায় জড়িত বলে গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শামীম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অন্যতম পরিচালক। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তার।
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ছেলে শামীম ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) ভিপি ছিলেন।