জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় না হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
Published : 24 Jun 2014, 01:10 PM
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মত ১৬টি অভিযোগে অভিযুক্ত নিজামীর রায় হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার।
অন্যান্য রায়ের মত এই রায়ের দিনও সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে জড়ো হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠন।
এ সময় তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের আমিরের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে বেলা ১১টার দিকে নিজমীর রায় না হওয়ার ঘোষণা আসায় ক্ষোভ হতাশায় মুষড়ে পড়েন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন আসামির অসুস্থতার কারণে একটি রায় পিছিয়ে যাবে, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কোর্টের ভেতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে আসামিকে এনে আজ রায় দেয়া যেত।”
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের মহাসচিব মাহবুব আলম চৌধুরী বলেন, “এমনটি আমাদের কাছে প্রত্যাশিত নয়। আমরা চাই, অবিলম্বে এই যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসির মুখোমুখি করা হোক।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অসুস্থতার নামে রায়ের এই দীর্ঘসূত্রতা আমাদের গভীর শঙ্কায় ফেলেছে।”
২০১০ সালের ২৯ জুন একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর একই বছরের ২ অগাস্ট নিজামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর গতবছর ১১ ডিসেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ২৮ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগ আমলে নেয়।