গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
Published : 08 Mar 2014, 03:34 PM
শনিবার সকালে এ সংঘর্ষের সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও দুটি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মো. আমীর হোসেন জানান, বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল জলিলকে শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। এর প্রতিবাদে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ শ্রীপুর উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করতে যায়। এতে বাধা দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী সমর্থকরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরে এ নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে ওই ধাওয়াধাওয়ি ও সংঘর্ষ।
তিনি বলেন, এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এক পর্যায়ে ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মীরা কয়েক রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করে। এক পর্যায়ে কয়েকরাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন বলেও তিনি জানান।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহিদা আক্তার বলেন, গুরুতর আহত শ্রীপুর পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আল আমিনসহ (২৫) ২৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। দুইজনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর ২৫ জনকে দেয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা।
আব্দুল জলিলের নির্বাচনী সমন্বয়কারী নূরুন্নবী বলেনন, শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় বরমী এলাকায় গণসংযোগের সময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিলকে র্যাব সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। তার সমর্থদের প্রতিবাদের মুখে তিন ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়।
“তারই প্রতিবাদে শনিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।”