সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির পর দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান।
Published : 23 Feb 2014, 08:03 PM
রোববার প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি।
“যা বলার, তা দুদকে বলে এসেছি,” বলেন দশম সংসদে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিগত মহাজোট সরকারের সময়ের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলে নেয় দুদক।
এরপর মাহবুবুরসহ সাতজনের ‘অবৈধ’ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। সেইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
তলবের আদেশে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকে হাজির হন কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য বদি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানকে তলব করা হলেও তিনি সময় নিয়েছেন।
এরপর নির্ধারিত সময়ে রোববার দুদকে হাজির হলেন মাহবুবুর রহমান। তলবের এই আদেশকে ‘ইতিবাচক’ দৃষ্টিতে দেখছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে ২০ একর জমির মালিক থাকলেও মহাজোট সরকারেরর শাসনামলে পটুয়াখালী-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য ২ হাজার ২৬৫ একর জমির মালিক হয়েছেন।
এছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ গত পাঁচ বছরে ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা থেকে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে বলেও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সত্য কি না- জানতে চাইলে মাহবুবুর সাংবাদিকদের বলেন, “যখন প্রমাণিত হবে, তখনি আপনার বুঝতে পারবেন সত্য কি না।”
হয়রানি করতে সংবাদ মাধ্যম সম্পদের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে বদি অভিযোগ করেন।
একই অভিযোগ রয়েছে কি না- জানতে চাইলে মাহবুবুর বলেন, “নো কমেন্ট।”
দুদক কমিশনার এম সাহাবুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সম্পদের তথ্য প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
তার সম্পদের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনুসন্ধান চলছে, শেষ হলে সবাই জানতে পারবে।”
দুদক কমিশনার জানান, মাহবুবুরের সম্পদের সন্ধান জানতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে পটুয়াখালী ঘুরে এসেছেন। তার পাওয়া তথ্যের সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে।
মাহবুবুরের সম্পদ বিষয়ক তদন্তে কাজ করছেন দুদকের উপপরিচালক খায়রুল হুদা।