কুকুর লেলিয়ে ছাদ থেকে ফেলে শিক্ষার্থী হিমাদ্রী মজুমদার হিমু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
Published : 18 Feb 2014, 06:18 PM
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে মামলার বাদি ও হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত সাক্ষ্য দেন ।
সাক্ষ্য দেয়ার পর এক আসামির আইনজীবী প্রকাশকে আংশিক জেরা করেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন রেখেছে আদালত।
সাক্ষ্যে শ্রীপ্রকাশ বলেন, “মাদকবিরোধী সংগঠন শিকড়ের সদস্য ছিল হিমু। এ মামলার আসামিরা মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
“২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর শিকড়ের পক্ষ থেকে এম ইসমাইল নামের একজন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ থেকেই শিকড়ের সদস্যদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধের শুরু।”
‘মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় হিমুকে কুকুর লেলিয়ে হত্যা করা হয়’- আদালতে বলেন শ্রীপ্রকাশ।
অভিযুক্তরা হলেন- জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।
এর মধ্যে টিপু ও সাজু জামিনে থাকলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় শাহ সেলিম টিপুর বাড়ির ছাদে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে হিমাদ্রীকে ফেলে দেয়া হয়।
২৬ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর ওই বছর ২৩ মে হিমাদ্রী মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যামামলা করেন।
২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার এক মাস পর শাহাদাত হোসেন এবং পরে ওই বছরই টিপু ও রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পন করে। পরে সব আসামিই জামিনে বেরিয়ে যান।