আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সদ্যসমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 07 Jan 2014, 09:42 PM
তারা হলেন- যশোর-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত শেখ আফিল উদ্দীন ও ভোটে বেসরকারিভাবে জয় যশোর-২ আসনের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে কমিশনের বৈঠকে তাদের দুজনকে কারণ দর্শানেরা নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক।
বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৯টায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রার্থীর প্রার্থিতা কেনো বাতিল করা হবে না- তা কারণ দর্শাতে বলবো। এ নিয়ে নোটিশ দেওয়া হবে।”
কমিশন সচিবালয়ের আইন শাখা রাতেই নবনির্বাচিত এই দুই সংসদ সদস্যদের যশোর ও ঢাকার আবাসিক ঠিকানায় চিঠি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
দুই প্রার্থীকে আলাদা কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়, “৯১ ই অনুসারে দশম সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ ও যশোর-২ নির্বাচনী এলাকার সদস্য পদে কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইসিতে দাখিল করতে হবে।”
প্রার্থীরা কমিশনের সামনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শুনানি করতে চান কিনা তাও জানাতে বলেছে কমিশন।
‘প্রয়োগযোগ্য নয়’ এমন অজুহাতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন আরপিও’র ৯১ ই ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় গত আগস্ট মাসে। শেষপর্য্ন্ত ব্যাপক সমালোচনার মুখে তা আর করতে পারে নি।
১ জানুয়ারি কলস প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্ট মো. শাহীন-উল-কবীর ইসিতে আওয়ামী লীগের এই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ৩ জানুয়ারি কমিশনে প্রতিবেদন পাঠায়, যাতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের একশ’ কর্মী ভোট কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকের জয় সুনিশ্চিত করতে ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৮১ (১) (এফ) অনুসারে এই কাজটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এজন্য আরপিওর ১২ (১) [ডি] অনুসারে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বা নির্বাচিত হওয়ার পর এ পদে বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।