মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত মালিকপক্ষ মেনে না নেয়ায় সাভারের আশুলিয়ায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
Published : 12 Nov 2013, 12:28 PM
এই প্রেক্ষাপটে জিরাব-বাইপাইল ও জিরাব-বিশমাইল সড়ককের পাশের দেড় শতাধিক পোশাক কারখানা একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষে পুলিশ, পথচারীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের বেরন এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে শ্রমিকরা কারখানায় এসে ভেতরেই বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে বেরন এলাকার নেক্সট কালেকশন, সেতারা গ্রুপ, সেড ফ্যাশনসসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে বেরিয়ে পরে।
পরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সকাল ৯টার থেকে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ চলতে থাকে বেরন এলাকার ইস্টার্ন হাউজিং মাঠে।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বাইরে থেকে বিভিন্ন কারখানায় ঢিল ছুড়তে থাকে। আশুলিয়ার শিমুলতলা স্ট্যান্ডের কাছে কাঠে আগুন জ্বালিয়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কও অবরোধ করে।
পরে শ্রমিকদের আরেকটি অংশ নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
শিল্প পুলিশ-১ আশুলিয়া অঞ্চলের পরিদর্শক আব্দুস সাত্তার বলেন, মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩শ’ টাকা মালিক পক্ষ মেনে না নেয়ায় কয়েকদিন ধরেই শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছিল।
তিনি বলেন, জিরাব-বাইপাইল ও জিরাব-বিশমাইল সড়কের পাশে অবস্থিত কয়েকটি কারখানায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছুড়ে ভাংচুরের চেষ্টা চালায় তখন পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
তিনি বলেন, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জলকামান। সড়কে পুলিশের সাঁজোয়া যান টহল দিচ্ছে। এছাড়া বিজিবিও রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সাজেদা বেগম, সবুজ, করিম, স্বপ্না বেগম বলেন, মজুরি বোর্ড ঘোষিত নূন্যতম মজুরি মালিক পক্ষ মেনে না নিলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।