আসন্ন দশম সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা বাহিনী চাইবে নির্বাচন কমিশন।
Published : 04 Nov 2013, 01:46 PM
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সোমবার কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আরপিও অনুসারে আইন-শৃঙ্খলায় যেসব বাহিনী থাকবে তাদের নিয়োজিত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এবারও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সেনাবাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানাব।”
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থানে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই ইসির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য এলো।
বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনে ও উপ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়নি।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে’ বরাবরই সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে।
চলতি নভেম্বরেই আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে ইংগিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী অন্তর্ভূক্ত না থাকায় এবার অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সেনা মোতায়েনের অনুরোধ করবেন তারা।
তবে তফসিল ঘোষণার পরে, নাকি নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে- তা ‘স্পষ্ট’ করেননি শাহনেওয়াজ।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায়’ এ অনুরোধ জানানো হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ৩০০ আসনের নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর ৫ লাখেরও বেশি সদস্য প্রয়োজন হয়।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনেও সশস্ত্রবাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়।
২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে নির্বাচনে ‘ল’ এনফোর্সিং এজেন্সির’ সংজ্ঞায় ‘ডিফেন্স সার্ভিস’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্ত ২০০৯ সনের ১৩ নম্বর আইনে তা বাদ দেয়া হয়।
এ কারণে বর্তমান সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং হবিগঞ্জ-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ উপ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সেনাবাহিনী চেয়েও পায়নি ইসি।