জিন বদলে উৎপাদিত বেগুনবীজ বাজারজাত বন্ধে করা দুটি রিট আবেদন উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 23 Sep 2013, 05:25 PM
আবেদন দুটির প্রাথমিক শুনানি একইসঙ্গে করে সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ খারিজের আদেশ দিতে চাইলে আবেদনকারীরা তা প্রত্যাহার করতে চান। তখন উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আদেশ দেয় আদালত।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমের নির্বাহী পরিচালক সাকিউল মিল্লাত মোরসেদ এবং নয়াকৃষি আন্দোলনের সংগঠক ফরিদা আকতারসহ পাঁচজন গত ২৮ জুলাই এ দুটি রিট আবেদন করেছিলেন।
ফরিদা আকতারদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও আদিলুর রহমান খান। মোরসেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম।
নয়াকৃষি আন্দোলনের সংগঠন ফরিদা আকতারের সঙ্গে বাদি ছিলেন একই সংগঠনের গবেষক ও সংগঠক রবিউল ইসলাম চুন্নু, পাবনার কৃষক মারিয়াম খাতুন, টাঙ্গাইলের কৃষক মো. আক্কাস আলী মিয়া ও রিনা বেগম।
এই রিট আবেদনে কৃষি সচিব, পরিবেশ সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যানকে বিবাদি করা হয়।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিটি বেগুনবীজ বাজারজাত করার অনুমতি দিতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয় এই আবেদনে।
অনুমোদন দেয়ার আগে একটি স্বাধীন তদন্ত করতে বিবাদিদের প্রতি নির্দেশনা চান ফরিদা আখতাররা।
অন্যদিকে সাকিউল মিল্লাত মোরসেদের রিট আবেদনে রুলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়।
আবেদনে বলা হয়, বিবাদিরা জিন বদলে তৈরি বেগুনের ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর এই বেগুন বাজারে উন্মুক্ত করার মাধ্যমে তারা জনস্বাস্থ্য ও জনজীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছেন।
শহিদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রজাতির বেগুন রয়েছে। এর একটি প্রজাতির বেগুনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ব্যাসিলাস থারিনভেনসিস নামের একটি ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়ে দিয়ে বিটি বেগুন করা হয়।
“এই বেগুনকে পোকানিরোধী বেগুন বলে বাজারজাত করা হচ্ছে। আসলেই ওই বেগুনে পোকা ধরে না। কারণ এই বেগুন খেলে পরিপাকতন্ত্র নষ্ট হয়ে মারা যায়।”
শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমেরিকান কোম্পানি মোনসানটো ভারতের মহারাষ্ট্রে এই বেগুন বাজারজাত করতে চেয়েও পারেনি। প্রতিরোধের মুখে তাদের ওই পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। ফিলিপাইনেও তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।