মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন এক নারী সাংবাদিক।
Published : 16 Sep 2013, 06:27 PM
আহত নাজনীন আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নাজনীন দৈনিক জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। তার স্বামী রকিবুল ইসলাম মুকুলও সাংবাদিক। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেদক।
মুকুল-নাজনীন দম্পতির ছয় বছরের মেয়ে চন্দ্রমুখী সোমবার বিকালে মারা যায় বলে জানিয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী।
চন্দ্রমুখীর যকৃৎ অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। সে পাঁচ দিন ধরে শিশু হাসপাতালে আইসিইউতে ছিল।
উত্তম চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালে বিকালে চন্দ্রমুখীর মৃত্যু হলে শোকগ্রস্ত নাজনীন কল্যাণপুরে তাদের বাসার ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে।
নাজনীনকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
নাজনীনের হাত ও মাথায় আঘাত পান। সন্ধ্যায় সিটি স্ক্যানের পর চিকিৎসকরা বলেছেন, নাজনীন এখন অনেকটা আশঙ্কামুক্ত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এইচ এ নাজমুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, বুকের দুইটা হাড়, মেরুদণ্ডের পেছনের হাড় ফুলে গেছে। ডান হাতের আঙুল ভেঙেছে।
“তবে এই মুহূর্তে তাকে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না,” বলেন এ্ই চিকিৎসক।
এদিকে রাতে কল্যাণপুরে বাড়িতে জানাজার পর চন্দ্রমুখীকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মেয়েকে দাফনের রাতে হাসপাতালে স্ত্রীর কাছে যান রকিবুল, এসময় তাকে বেশ বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন।