আনোয়ারায় দরবার শরিফের টাকা লুটের মামলায় র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক জুলফিকারসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
Published : 26 Jul 2012, 03:35 PM
বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও’র কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরিদর্শক আবদুস সামাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগপত্রে র্যাবের সাবেক অধিনায়ক জুলফিকার আলী মজুমদারসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে চারজন র্যাব-৭ এর সাবেক কর্মকর্তা, বাকি তিনজন র্যাবের সোর্স।
চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার ছাড়া অপর ছয় আসামি হলেন- র্যাব-৭ এর সাবেক কর্মকর্তা ফ্লাইট লে. শেখ মাহমুদুল হাসান, ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়–য়া।
পরিদর্শক আবদুস সামাদ বলেন, তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে র্যাবের সোর্স মানব বড়–য়ার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি উঠে আসায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামি সুবিধাভোগী ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত র্যাব-৭ এর ছয় কর্মকর্তা হলেন- নায়েক হাসানুজ্জামান, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, নায়েক মো. লিটন, কনস্টেবল সুমন, এএসআই আলী আশরাফ ও সৈনিক জসিম উদ্দিন।
বার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।
২০১১ সালের ৪ নভেম্বর আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফে অভিযান চালানোর নামে সেখান থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগে গত ১৩ মার্চ র্যাবের ১২ সদস্যের নামে একটি মামলা হয়।
আনোয়ারা থানার ওই মামলায় র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক জুলফিকার আলীকে করা হয় প্রধান আসামি। তালসরা দরবার শরিফের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তালসরা দরবার শরিফে অভিযান চালিয়ে এতে রাখা আলমারি ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়। একইদিন দরবার শরিফ থেকে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে র্যাব সদস্যরা আটক করে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হলেও টাকার বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লে¬খ করেনি তারা।