ঢাকা, নভেম্বর ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিকের বিভিন্ন কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখতে কাঠমান্ডু যাওয়া তদন্ত দল শুক্রবার ঢাকা ফিরেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এ তদন্ত দল শুক্রবার ঢাকা ফিরেছেন।
এ দলটি ৩১ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু যায়।
চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে এই তদন্ত দলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক জন পরিচালক রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের সময় তারা অভিযোগগুলো নিয়ে নিমচন্দ্র ভৌমিকের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি কয়েকজন বাংলাদেশি ও নেপালের কয়েক নাগরিকের সঙ্গেও কথা বলেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টার করেও ফয়েজ আহমেদকে পাওয়া যায়নি।
ভারতের পতাকা নিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ, নারী কেলেঙ্কারি, ভিসা দিতে হয়রানি, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে ঘুষ, এমনকি নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর মতো অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে।
নিমচন্দ্রের এসব কেলেঙ্কারির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন দেয়। তাতে বলা হয়, নেপালের পররাষ্ট্র দপ্তর অনানুষ্ঠানিকভাবে নিমচন্দ্রকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
কাঠমান্ডুতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএফআর জ্যাকবের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠকে নিমচন্দ্র তার গাড়িতে ভারতের পতাকা উড়িয়ে যান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিমচন্দ্র ভৌমিকের কূটনীতিক হিসেবে অপেশাদার আচরণ দুদেশের সম্পর্কে 'গুরুতর প্রভাব' ফেলার পাশাপাশি নেপালে দেশের ভাবমূর্তি বেশ ক্ষুণœ করেছে।
অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিমচন্দ্র বলেছেন, কেউ কেউ তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নিমচন্দ্র বর্তমান সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০০৯ সালে নেপালের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পান। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ছাত্র বিক্ষোভের সময় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএইচ/এমআই/২৩১২ ঘ.