ঢাকা, এপ্রিল ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যেসব প্রার্থী ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এছাড়া নতুন গণপ্রতিনিধিত্ব আইন নিয়ে খুব শিগগির নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ১৫৩৮ প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জন এখনো নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেননি।
তাদের মধ্যে কোন নির্বাচিত সাংসদ নেই বলে তিনি জানান।
দাখিল করা হিসাব সঠিক কি না, এই প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা ব্যয়ের যে হিসাব জমা দিয়েছেন তা যাচাই বাছাই করার উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। প্রয়োজনে অডিট করা হবে।"
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী তাদের দলীয় নির্বাচনী ব্যয় জমা দিলেও বিএনপি ও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল তা করেনি। এ জন্য বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া ৩৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছয়টি নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেনি। দলগুলো হলো বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, এইচ এম এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও ফ্রিডম পার্টি।
এছাড়া নতুন নির্বাচনী আইন (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) নিয়ে খুব শিগগির নির্বাচন কমিশন আবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভব হলে বাজেট অধিবেশনের আগেই এই আলোচনা হতে পারে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "নির্বাচন ও নির্বাচনী আইন নিয়ে এ আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য আনুষ্টানিক সংলাপেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"
নতুন নির্বাচনী আইনে আরো কিছু বিষয় অন্তর্ভূক্ত এবং বিদ্যমান আইনের ত্র"টি দূর করার ব্যাপারে তাদের মতামত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী আইন নিয়ে তিন দফা সংলাপ করেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/কিউএইচ/টিআর/২০৩০ ঘ.