ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বা ডিআইজি হিসাবে সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া হারুন অর রশীদ।
Published : 13 Jul 2022, 07:06 PM
বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে হারুনকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের (গোয়েন্দা) দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ১১ মে ডিআইজি হিসাবে পদন্নোতি পাওয়ার আগে হারুন অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবারের আদেশে গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্বে থাকা এ কে এম হাফিজ আকতারকে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপরেশন) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ট্রাফিকের অতিরিক্ত কমিশনার হিসাবে চলতি দায়িত্বে থাকা মুনিবুর রহমান এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর অতিরিক্ত কমিশনার হিসাবে দায়িত্বে থাকা মো. আসাদুজ্জামানকে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দিয়ে একই জায়গায় রাখা হয়েছে।
নতুন এই আদেশে ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা সৈয়দ নুরুল ইসলামকে লজিস্টিক, ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ মে ৩২ জনকে ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতির আদেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই আদেশে হারুন অর রশীদ, মুনিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান এবং সৈয়দ নুরুল ইসলামও ছিলেন।
তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার থাকাকালে ২০১১ সালে পুলিশের দিকে তেড়ে যাওয়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে পিটুনি দিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন হারুন।
পরে ডিএমপির লালবাগ বিভাগে কয়েক বছর দায়িত্ব পালনের পর গাজীপুরের পুলিশ সুপার হন তিনি। সেখানে কয়েক বছর দায়িত্ব পালনের মধ্যে ২০১৮ সালের মে মাসে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বিএনপি তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে। এরপর ওই বছরের অগাস্টের শুরুতে তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশে বদলি করা হয়।
একই বছরের ২ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে হারুনকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করে সরকার।
নারায়ণগঞ্জে ১১ মাসের দায়িত্বে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেন হারুন। হকার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে তিনি যেমন প্রশংসিত হন, তেমনি নারায়ণগঞ্জের অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে টক্করে গিয়ে নতুন নতুন আলোচনার জন্ম দেন।
২০১৯ সালে পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার এম এ হাশেমের ছেলে আমবার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজের স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করেও আলোচনার সৃষ্টি করেন হারুন।