শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই মাওয়া-জাজিরার আকাশে এই প্রদর্শনী হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।
সকালে মাওয়ায় গিয়ে সেতুর সার্ভিস এরিয়ায় এক সুধী সমাবেশে অংশ নেন সরকারপ্রধান। পরে টোল দিয়ে প্রথম যাত্রী হিসেবে সেতু এলাকায় প্রবেশ করে ফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় দক্ষিণ জনপদের মানুষের বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর।
উদ্বোধন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করে শেখ হাসিনার গাড়ি বহর। এ সময় মাঝ সেতুতে নেমে বিমান বাহিনীর বিমান ও হেলিকপ্টারের মনোজ্ঞ ‘ফ্লাইং ডিসপ্লে’ উপভোগ করেন তিনি। মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
এই ফ্লাইপাস্টে মিগ-২৯ ও এফ-৭ সিরিজের যুদ্ধবিমান, সি-১৩০জে ও এল-৪১০ পরিবহণ বিমান, এবং গ্রোব-১২০ টিপি প্রশিক্ষণ বিমান বিভিন্ন ধরনের ফরমেশনে উড্ডয়নের পাশাপাশি বর্ণিল ধোঁয়া ছেড়ে অনুষ্ঠানস্থল অতিক্রম করে।
জাতীয় পতাকা সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পদ্মাসেতু ও 'জয় বাংলা' ব্যানার নিয়ে এগিয়ে যায় ৫টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার।
এছাড়াও একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টার থেকে অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সবশেষে সাতটি কে-৮ডব্লিউ এবং একটি মিগ-২৯ বিমানের মনোমুগ্ধকর অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফ্লাইপাস্ট শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উপর প্রায় ১৪ মিনিট দাঁড়িয়ে বিমানবাহিনীর এই প্রদর্শনী দেখেন। পরে গাড়িবহর নিয়ে পৌঁছান সেতুর জাজিরা প্রান্তে। সেখানে আরকেটি ফলক উন্মোচন করে শিবচরে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন।