ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে হবে। এই সড়কটি এতদিন ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে পরিচিত ছিল।
Published : 20 Jun 2022, 10:38 PM
জাতির পিতার নামে এই সড়কের নামকরণ করে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। তবে মহাসড়কটির এই নাম এতদিন ব্যবহার হয়নি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী এবং আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল ফ্রি করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই মহাসড়কের নাম দেওয়া হয় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই মহাসড়কটি জাতির পিতার নামে পরিচিত করতে কাজ শুরু করেছেন তারা।
কাগজেকলমে এই মহাসড়কটি জাতির পিতার নামে হলেও ব্যবহারিকভাবে সেটা পরিচিত ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, “গেজেট আগেই হয়েছে। কিন্তু মানুষ সেই নামটি বলে না।
“এজন্য আমরা বলেছি এই মহাসড়কের নামটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে লিখে দেওয়ার জন্য। এক পর্যায়ে মানুষ এই নামটিই বলবে। আজ থেকে এই নামটির প্রচারণা শুরু হল।”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই প্রকল্পের নাম ছিল ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। মহাসড়কটি এখনও সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেনি। এ কারণে আগের নামটিই রয়ে গেছে।
“নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এই মহাসড়কটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর। তখন থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সব কাগজপত্রেই সড়কটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কই লেখা হবে।”
২০১৯ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া, বাবুবাজার লিঙ্করোডসহ) মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এবং মাদারীপুরের পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় মহাসড়ক জাতির পিতার নামে হবে।
একই প্রজ্ঞাপনে সিলেটের বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন থেকে সালবাগ, সালুটিকর, কোম্পানিগঞ্জ হয়ে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়কটিও জাতির পিতার নামে করা হয়েছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কটি দেশের প্রথম আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে। এই সড়ক দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ স্থাপন করবে।
সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এই সড়কে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার, দুটি ইন্টার চেইন, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।
গত বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাসড়ক উদ্বোধন করেন।