জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নয় বছর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মো. উজ্জ্বল মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।
Published : 14 Jun 2022, 01:40 PM
ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজায় দণ্ডিতরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
এ ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দণ্ডিতরা সবাই এলাকায় রাজনীতি ও চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল। তারা ছিল সন্ত্রাসী ও গ্রাম্য টাউট।”
হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ইসলাম, এমদাদুল, কুদরত আলী ও হাছেন আলীকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালেই মারা যান।
মামলার নথিতে বলা হয়, জমি নিয়ে উজ্জ্বল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের আগে থেকেই বিরোধ ছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে দোলযাত্রার মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন তিনি। তার সঙ্গে নজর আলী ও কালাম নামে দুজন ছিলেন।
উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উজ্জ্বলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করলে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র সরকার।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য শোনেন।
মামলার বিচারে খালাসপ্রাপ্তদের শাস্তি চাইতে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নে আইনজীবী মাহবুবুর বলেন, “রায়ের কপি পেয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মো. নজীব উল্লাহ হিরু ও এম এ ছালাম প্রধান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বরে জানিয়েছেন।