আইনসম্মতভাবে বিচ্ছেদের আগেই নতুন করে বিয়ের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর যে আদেশ হাকিম আদলত দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে দায়রা জজের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
Published : 06 Mar 2022, 03:46 PM
এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেছেন নাসির ও তামিমা।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস পাল জানান, মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ওই আবেদন গ্রহণ করে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে নথি তলব করেছেন। এ বিষয়ে শুনানি জন্য আগামী ১ অগাস্ট দিন রেখেছেন তিনি।
তামিমার স্বামী মো. রাকিব হাসান গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।তার অভিযোগ, তার সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছেদ না ঘটিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেন তামিমা।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।
পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে গিয়ে লকডাউনে আটকা পড়েছিলেন তামিমা। তবে ফোন ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে রাকিবের ভাষ্য।
তিনি বলছেন, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখান থেকেই বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
মামলা হওয়ার পরদিন ঢাকার বনানীতে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাসির ও তামিমা।
রাকিবকে ‘তালাক দিয়েই’ নাসিরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন দাবি করে তামিমা সেদিন বলেছিলেন, “উই আর ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। উই আর নট গিল্টি। উই আর ইনোসেন্ট। আমি কোনো ভুল করিনি। হেনস্তা করার জন্য রাকিব এসব করেছে।”
কিন্তু সাত মাস তদন্ত করে পিবিআই যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে ‘যথাযথভাবে বিচ্ছেদ না করেই’ নতুন বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয় তামিমার বিরুদ্ধে।
আর নাসিরের বিরুদ্ধে আনা হয় ‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ’ করে নিয়ে যাওয়া, ‘ব্যাভিচার’ এবং তামিমার আগের স্বামীর মানহানি ঘটানোর অভিযোগ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিস পাননি। তামিমা উল্টো ‘জালিয়াতি’ করে তালাকের নোটিস তৈরি করে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ায় তামিমা এখনও ‘আইনত রাকিবের স্ত্রী’।
আর সব ‘জেনেও’ বিয়েতে সহায়তা করায় তামিমার মাকেও অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়। তালাকের শর্ত ‘পূরণ হয়েছে’ দেখাতে সুমি আক্তার বেশ কিছু ‘জালিয়াতিও করেছেন’ বলে পিবিআইয়ের ভাষ্য।
ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন গত ৯ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তবে নাসিরের শ্বাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।