যে কারণে হত্যা করা হয় সিনহাকে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হতাহতের বহু ঘটনায় জড়িয়ে গেছে নয়নাভিরাম সৈকত শহর কক্সবাজারের নাম; তবে একটি ঘটনা বদলে দিয়েছে অনেক কিছু।

গোলাম মর্তুজা অন্তুবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2022, 06:36 PM
Updated : 31 Jan 2022, 07:20 AM

দেড় বছর আগে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৩৬ বছর বয়সী সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সেই মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় পুরো দেশকে, কক্সবাজারের পুলিশ বিভাগের খোল-নলচে পাল্টে ফেলতে বাধ্য হয় সরকার।

সিনহা ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর, যিনি একসময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসএসএফেও কাজ করেছেন।

বন্ধু আর স্বজনদের বর্ণনায়, ছোটবেলা থেকেই সিনহা ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী, পছন্দ করতেন গাড়ি চালাতে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মাততে। ইচ্ছা ছিল, বের হবেন বিশ্ব ভ্রমণে।

কক্সবাজারে শুটিং করতে যাওয়া ‘জাস্ট গো’ টিমের সদস্য সিনহা মো. রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং বিদেশি।

সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর একদল তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন সিনহা, সেই কাজেই গিয়েছিলেন কক্সবাজারে। কেন তাকে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হল?

আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় হতে যাচ্ছে সোমবার। সিনহাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ আসামি আদৌ দোষী কি না, সেই সিদ্ধান্ত জানাবে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে কী ঘটেছিল, কেন ঘটেছিল, তার পেছনে কী ছিল, তার একটি চিত্র এ মামলার অভিযোগপত্রে দিয়েছেন র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।

সেখানে উঠে এসেছে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তার কথা, যিনি নিজের অপরাধ ঢাকতে তার সহকর্মীদের দিয়ে সিনহাকে হত্যার আয়োজন করেন।   

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘মাদক নির্মূলের নামে টেকনাফ থানায় নিরীহ মানুষের উপর ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের কাহিনী’ জেনে গিয়েছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা ও তার সঙ্গীরা। প্রদীপের অত্যাচারের শিকার কিছু মানুষের সাক্ষাতকারও তারা নিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রদীপের সঙ্গেও সিনহা এবং তার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের কথাও হয়। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে সিনহা ও তার দলকে ‘ধ্বংস করার’ সুযোগ খুঁজতে থাকেন প্রদীপ। তার পরিকল্পনাতেই চেকপোস্টে হত্যা করা হয় সিনহাকে।

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

সিনহার মৃত্যুর পর কক্সবাজারের পুলিশ বলেছিল, তিনি তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে।

সিনহার সঙ্গী শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে তিনটি মামলাও দায়ের করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। 

আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

পুলিশের দেওয়া বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যার’ অভিযোগগুলো এসময় আলোচনায় আসতে থাকে।

সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস তখন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কক্সবাজারের আদালতে। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে অত্মসমর্পণ করেন। তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।

ওই ঘটনার পর কক্সবাজারের পুলিশকে নতুন করে সাজানো হয়। এসপি থেকে কনস্টেবল- প্রায় সব পুলিশ সদস্যকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার ১০ দিন পর জামিনে মুক্তি পান শিপ্রা ও সিফাত। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে র‌্যাব জানায়, অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা পায়নি।

ঘটনার প্রায় সাড়ে চার মাস পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সেখানে বলা হয়, “সিনহা হত্যার ঘটনাটিকে গোপন রেখে পরিচয় আরো নিশ্চিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাপাচা দেওয়ার জন্য মেজর (অব.) সিনহা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পর পর তিনটি সাজানো ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়।”

কী আড়াল করতে চেয়েছিলেন প্রদীপ?

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর টেকনাফ থানায় যোগ দেন প্রদীপ। তার আগে তিনি একই জেলার মহেশখালী উপজেলার ওসি ছিলেন।

টেকনাফে আসার পর থেকেই তিনি মাদক নির্মূলের আড়ালে ‘সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা’ করছিলেন। ইয়াবা ব্যবসায়ী ছাড়াও স্থানীয় মোটামুটি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নিরীহ পরিবারকে টার্গেট করে, তাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে, অনেককে ‘ক্রসফায়ারে দিয়ে এবং ‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে’ টাকা আদায়ের ‘নির্মম নেশা’ পেয়ে বসে তাকে।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

সিনহা হত্যার পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে সব বিষয় খতিয়ে দেখে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপের ৩৩ মাসের সময়কালে ১০৬টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১৭৪ ব্যক্তি নিহত হন।

অথচ ওই কাজের জন্যই ২০১৯ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডাল বা বিপিএম পেয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। পদকপ্রাপ্তির সাইটেশনে তার ছয়টি ‘ক্রসফায়ারের ঘটনার’ উল্লেখ ছিল।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, টেকনাফ পুলিশ তখন ‘হরেদরে মানুষ মারত’। ওসি প্রদীপ ও তার সহকর্মীদের ‘ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যার’ প্রধান স্পট হয়ে উঠেছিল মেরিন ড্রাইভ সড়কটি।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে ও নির্দেশে শতাধিক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় বহু লোক মারা যায়।

“তার অপরাধের ধরন ছিল, মাদক উদ্ধার হলে অথবা কোনো ব্যক্তিকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে (ফিটিং মামলায়) স্থানীয় কিছু দালাল ও সোর্সের মাধ্যমে টাকার জন্য দেনদরবার করা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিকটিম পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হত ক্রসফায়ার না করার শর্তে।

“সেই টাকার পরিমাণ আবার চাহিদামত না হলে ক্রসফায়ার না দিলেও তাদের মাদক দিয়ে ফাঁসানো হত। যেসব ক্ষেত্রে পরিবারগুলো টাকা দিতে পারত না, তাদের ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হত, তাদেরই পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনদেরকে মামলার আসামি করা হত। এমনকি মহিলাদের উপর যৌন নিপিড়নও করা হত বলে তদন্তে জানা যায়।”

তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, প্রদীপের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। যারাই চেষ্টা করতেন, তাদেরই প্রদীপের রোষানলে পড়তে হয়েছে।

“ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বাড়িঘর হতে উচ্ছেদ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ সম্পত্তি বেদখল করে এবং ভয় দেখিয়ে মামলা প্রতি লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আদায় করাই তার (প্রদীপ) নেশা ও পেশা ছিল বলে তদন্তে জানায় যায়। এই কাজ করার জন্য তিনি তার সমমনা পুলিশ সদস্যদের দ্বারা নিজস্ব একটি পেটোয়া ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন।”

দৃশ্যপটে সিনহা

সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য ওই বছরের ৩ জুলাই কক্সবাজারে যান। ৭ জুলাই তারা হিমছড়ির নিলিমা রিসোর্টের একটি কটেজে ওঠেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, টেকনাফে ওই কাজ করতে গিয়ে লোকমুখে ওসি প্রদীপের অত্যাচার-নিপীড়নের কথা জানতে পারেন সিনহা। অনেক ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা সিনহা ও তার ভিডিও টিমের কাছে ওসির অত্যাচারের কাহিনী বলেন।

এরপর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের ‘পেটোয়া বাহিনীর’ নাম সংগ্রহ শুরু করেন সিনহা ও তার সঙ্গীরা। ক্যামেরাসহ জুলাই মাসে ওসি প্রদীপের সঙ্গে সিনহা ও তার দলের দেখা হয়।

তারা ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। ওসি প্রদীপ তখনই তাদের ওই কাজ বাদ দিতে ‘হুমকি দেন’ এবং ভিডিও দলটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

“তিনি আরো বলেন যে, তিনি মেজর টেজর এর ধার ধারেন না, তিনি বহু সাংবাদিককে পিটিয়েছেন, জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি তাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন এবং কক্সবাজার জেলা ছেড়ে যেতে বলেন। এই সমস্ত ইউটিউব, ইন্টারভিউ, ভিডিওচিত্র বানিয়ে তার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ও কর্তৃপক্ষকে জানালে মেজর সাহেব ও তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন বলে হুমকি দেন,” বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।  

তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি হালকাভাবে নিয়ে সিনহা তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। তাতে ওসি প্রদীপের সন্দেহ হয় যে, সিনহা সেনাবাহিনীর সাবেক অফিসার পরিচয় দিয়ে পুলিশের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ‘ভিকটিম পরিবারের’ সাথে গোপনে যোগাযোগ করছেন।

বিষয়টি নিয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত এবং সোর্স নরুল আমিন, আইয়াজ ও নিজাম উদ্দিনের সাথে কথা বলেন প্রদীপ। তাদেরকে সিনহা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে বলেন।

সে সময় ‘ক্রসফায়ারের শিকার’ কয়েকটি পরিবারে গিয়ে সিনহার ভিডিও টিমের সঙ্গে কথা না বলার জন্যও হুমকি দিয়ে আসে পুলিশ। টেকনাফের হাম জালাল (৫০), আলী আকবর (৪৪), ছেনোয়ারা বেগমসহ (২৪) অন্তত পাঁচটি পরিবারের কাছে সে সময় পুলিশ গিয়েছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লিয়াকত পুলিশের সোর্সদের সিনহা ও তার ভিডিও দলের খোঁজ বের করার দায়িত্ব দেন। তাদের খবর পাওয়ার সাথে সাথে তাকে (লিয়াকতকে) অথবা ওসি প্রদীপকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে বলা হয়।

৩১ জুলাই দুপুরে রামু সেনানিবাসে একটি বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের দেখা হয়। তখন লিয়াকতকে সিনহার ভিডিও দল সম্পর্কে সাবধান করেন ওসি, এ বিষয়ে ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা বলেন।

চার্জশিটে বলা হয়, ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে সিনহা ও তার দলকে টলাতে না পেরে ‘নীলনকশা’ অনুযায়ী সেই রাতে প্রথমে ‘ডাকাত সাজিয়ে হত্যার চেষ্টা’ করেন পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, আইয়াজ ও নিজাম উদ্দিন।

তাতে ব্যর্থ হয়ে বাহারছড়া চেকপোস্টে ‘আর দশটা ক্রসফায়ারের মত সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা মাথায়’ সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন লিয়াকত। সিনহা গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত তাকে পা দিয়ে আঘাত করেন, তার ‘গলায় পা চেপে ধরে’ আনুমানিক সোয়া ঘণ্টা ফেলে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

পরে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী বলেছিলেন, ওসি প্রদীপ তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই গ্রুপটিকে সুবিধামত পেলে ‘জানে শেষ করে দিতে হবে’। ঘটনার রাতে সিনহাকে চার রাউন্ড গুলি করার বিষয়টি ওসিকে জানালে তিনি সিনহাকে হাসপাতালে পাঠাতে নিষেধ করেন এবং অপেক্ষা করতে বলেন।

তদন্ত কর্মকর্তা তার অভিযোগপত্রে বলেছেন, মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের দেওয়া জবানবন্দি পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সিনহা হত্যাকাণ্ড ‘পূর্বপরিকল্পিত’।

“ইহা আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীর চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উশৃঙ্খল এবং লাগামহীন কু-কর্মের ফল।”