জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি তৈরির শুরুতে ভুল থাকার জন্য দক্ষ জনবলের অভাবকে দায়ী করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Published : 27 Jan 2022, 04:59 PM
২০০৭-২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং সশস্ত্র বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় নাগরিকদের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করে জাতীয়ভাবে ভোটার ডেটাবেইস গড়ে তোলা হয়।
আনিসুল হক বলেন, “বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে পরিলক্ষিত ভুলসমূহের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধি অনুসারে সংশোধনের সুযোগ দিলেও বিভিন্ন কারণে অনেকেই সেসময় ওই সুযোগ নেননি। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকগণ সচেতন হওয়ায় ভুলের পরিমাণ তুলনামূলক কম।”
২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের সকল ক্ষেত্রে ভোটারের নিবন্ধন ফরম কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, “এতে দেখা গেছে, এনআইডি সঠিকভাবেই মুদ্রিত হয়েছে। অপরদিকে সংশোধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনের অধিকাংশই সংশোধনের চাহিদা অনুযায়ী যুক্তিসংগত নয়। এসব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণপত্র ও দলিলাদি দাখিলসহ ক্ষেত্রবিশেষ তদন্ত বা পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন পড়ে। এ সকল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সময় লাগে।”
আনিসুল হক বলেন, মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তাগণকে এ সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একটি অত্যাধুনিক অনলাইন কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি অফলাইন ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।
“অনলাইন ব্যবস্থা চালুর ফলে আবেদনকারী ঘরে বসেই তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে সক্ষম হচ্ছেন এবং আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটিও ট্র্যাকিং করতে পারছেন। এনআইডি সংশোধনের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর সংশোধিত কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে সক্ষম হচ্ছে। আবেদনকারী সশরীরে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গেলেও আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে।”
এনআইডিতে ভুল সংশোধনের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সীমিত না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে বলেন তিনি।
“এনআইডি উইং এর কর্মকর্তাগণের পাশপাশি মাঠপর্যায়ের নির্বাচন অফিসমূহের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণকেও আবেদনের ধরন অনুসারে আবেদন নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।”
এনআইডি তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদ করায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এনআইডি সেবা সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য মাঠপর্যায়ে থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসে সহকারী নির্বাচন অফিসারসহ রাজস্ব খাতে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।