ওমিক্রন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন’

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রনের কারণেই’ সংক্রমণ বাড়ছে জানিয়ে তা ঠেকাতে ‘ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন’ চূড়ান্ত করে ‘স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে’ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 11:59 AM
Updated : 26 Jan 2022, 11:59 AM

বুধবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণা থেকে জানা গেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন বেশি মাত্রায় শনাক্ত হচ্ছে।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, “গবেষকরা মনে করছেন ওমিক্রনের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এটি নিয়ে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চুড়ান্ত হয়ে গেছে।

“নতুন নতুন তথ্য নিয়েই এই গাইডলাইন সাজানো হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ গাইডলাইন পাঠিয়ে দিয়েছি।”

মহামারীর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় গত নভেম্বরের শেষে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের আবির্ভাবের পর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে বুধবার টানা দ্বিতীয় দিনের মত ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকার পর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগেও সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, “ওমিক্রনের যে উপসর্গ আছে সেই উপসর্গগুলো এতে (ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন) যোগ করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো উপসর্গ রয়েছে কিনা সেটি খুঁজে দেখা হচ্ছে।”

এর আগে গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ওমিক্রন সংক্রমিতদের ৭৩ শতাংশেরই নাক দিয়ে পানি ঝরছে; সেই সঙ্গে মাথাব্যথা, অবসন্নতা, ক্লান্তিবোধ ও হাঁচির মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে।

দেশে নতুন করে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম। 

“সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সঠিক নিয়মে মাস্ক পড়া, সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে এই অতিমারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনে। মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জনের।

এর মধ্যে গত ১২ জানুয়ারির পর ১৩ দিনেই এক লাখের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন