ব্লিংকেনের সঙ্গে মোমেনের ফোনালাপ

র‌্যাব ও এর সাত সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2021, 04:00 PM
Updated : 16 Dec 2021, 05:03 AM

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলেন।

পরে ফেইসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ফেনালাপে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন তারা দুজনই।

“দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের এই সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বাড়ানোর বিষয়েও একমত হয়েছেন তারা।”

তাদের ফোনালাপের বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন।

“দুই নেতা মানবাধিকারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় এবং অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।”

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।

এই তালিকায় র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও পুলিশের বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমদের সঙ্গে কক্সবাজারে র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতা উদ্দিন আহমেদের নাম এসেছে।

এছাড়া আলাদাভাবে বিভিন্ন দেশের ১২ কর্মকর্তার নাম যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করার কথা বলেছে সে দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর।

সেখানে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাব, এর সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক ও বর্তমান আরও পাঁচ কর্মকর্তার নাম।

নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই বার্তা তাকে ওয়াশিংটনে পৌঁছে দিতে বলা হয়।

শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।”

এরপর মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আর তাতে সফল হওয়ার বিষয়েও তিনি আশাবাদী।

পুরনো খবর: