একই সঙ্গে গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাদিয়ার মতো কতগুলো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে দুই মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
শাহীনুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুল জারির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজ চলার সময় ফুটপাত ও রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক অবহেলা কেন সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, সে প্রশ্নেও রুল দিয়েছেন আদালত।”
ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের আইনি নোটিস পাঠানোর পর কোনো পদক্ষেপ না দেখে হাই কোর্ট রিট আবেদনটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও সিসিবি ফাউন্ডেশন।
রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রোববার আদেশ দিল উচ্চ আদালত।
সাদিয়ার মৃত্যুর এক মাস আগে ২৫ অগাস্ট জলাবদ্ধতার মধ্যে বন্দরনগরীর মুরাদপুর মোড়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী সালেহ। শেষ পর্যন্ত তার আর খোঁজ মেলেনি।
সালেহ আহমদের মৃত্যুর পর এ ঘটনায় দায় নিয়ে একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছিল দুই সরকারি সংস্থা সিসিসি ও সিডিএ।
তখন এ ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে। সাত সদস্যের ওই কমিটি গত ১ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়।
ওই প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনকে দায়ি করা হয়।
আরও পড়ুন