নালায় পড়ে সাদিয়ার মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2021, 05:56 PM
Updated : 5 Dec 2021, 05:56 PM

একই সঙ্গে গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাদিয়ার মতো কতগুলো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে দুই মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।

শাহীনুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুল জারির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজ চলার সময় ফুটপাত ও রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক অবহেলা কেন সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, সে প্রশ্নেও রুল দিয়েছেন আদালত।”

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সোমবার রাতে নালায় পড়ে যাওয়া ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়রা। ছবি: সুমন বাবু

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের আইনি নোটিস পাঠানোর পর কোনো পদক্ষেপ না দেখে হাই কোর্ট রিট আবেদনটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও সিসিবি ফাউন্ডেশন।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রোববার আদেশ দিল উচ্চ আদালত।

সাদিয়ার মৃত্যুর এক মাস আগে ২৫ অগাস্ট জলাবদ্ধতার মধ্যে বন্দরনগরীর মুরাদপুর মোড়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী সালেহ। শেষ পর্যন্ত তার আর খোঁজ মেলেনি।

সালেহ আহমদের মৃত্যুর পর এ ঘটনায় দায় নিয়ে একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছিল দুই সরকারি সংস্থা সিসিসি ও সিডিএ।

তখন এ ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে। সাত সদস্যের ওই কমিটি গত ১ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়।

ওই প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনকে দায়ি করা হয়।

আরও পড়ুন