শক্তি হারিয়ে জোয়াদ এখন গভীর নিম্নচাপ

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জোয়াদ’ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এর প্রভাবে সাগরে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, অনেক এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। আরও দুয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।

রোববার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে।

ঘূর্ণিঝড় জোয়াদ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা  

‘জোয়াদে’ বৈরী আবহাওয়া: সেন্টমার্টিনে আটকা সহস্রাধিক পর্যটক  

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। 

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, গভীর নিম্নচাপটি আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছানোর আগেই পরিণত হবে সুস্পষ্ট লঘুচাপে। 

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় দমকা/ঝড়ো হওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও।

সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।  বৃষ্টি কেটে যাওয়ার পর জেঁকে বসবে শীত।