শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ জানান, এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সংতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।”
এ আবহাওয়াবিদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আগামী দু’দিন ঝড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি এখনও দূরে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ। সংকেত বাড়বে কিনা আগামীকাল তা বলা যাবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।