‘জোয়াদে’ বৈরী আবহাওয়া: সেন্টমার্টিনে আটকা সহস্রাধিক পর্যটক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জোয়াদ’-এর প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় সেন্টমার্টিনে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2021, 04:11 PM
Updated : 4 Dec 2021, 06:33 PM

টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, “আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

“আপাতত সোমবার পর্যন্ত এ নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও বলেন, “শনিবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী ৬টি জাহাজে অন্তত পাঁচ সহস্রাধিক পর্যটক প্রবাল দ্বীপে বেড়াতে যান। জাহাজগুলো বিকালে টেকনাফ ফেরার আগে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতির ব্যাপারে পর্যটকদের অবহিত করা হয়েছিল।

“এরপরও অনেক পর্যটক জাহাজে করে টেকনাফ না ফিরে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করেন। সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিরূপ হওয়ায় প্রশাসন রোববার থেকে দুই দিনের জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।”

সেন্টমার্টিনে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আটকেপড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।”

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, “রোববার থেকে প্রশাসন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা করায় সেন্টমার্টিনে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকাশ কিছুটা মেঘলা রয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও দ্বীপের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

“আটকেপড়া পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে অবস্থান করছেন।”

পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যাপারে হোটেল-মোটেলসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।