পরীমনির গাড়ি, ফোন, ল্যাপটপ ফেরত দিতে ‘আপত্তি নেই’ সিআইডির

পরীমনি জামিনে মুক্তি পেলেও তার গাড়ি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ আলামত হিসেবে থেকে গিয়েছিল সিআইডির কাছে। এখন সেগুলো এই চিত্রনায়িকাকে ফেরত দিতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থাটি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2021, 01:54 PM
Updated : 27 Sept 2021, 01:54 PM

জামিনে মুক্ত পরীমনি গাড়ি, আইফোন ও প্রসাধনীর বাক্স জব্দ করায় ‘ভোগান্তিতে’ পড়েছেন জানিয়ে সেসব ফিরে পেতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আবেদন করেছিলেন।

বিচারক সেদিন তার বক্তব্য শুনে এসব জিনিসের মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল একটি প্রতিবেদন রোববার আদালতে পুলিশের নিবন্ধন শাখায় দাখিল করেছেন।

তাতে তিনি দুটি জব্দ তালিকায় মোট ১৬টি আলামত পরীমনিকে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করেন বলে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, জব্দকৃত আলামত পরীমনিকে ফেরত দেওয়া হলেও তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।

সিআইডির প্রতিবেদন নিয়ে মঙ্গলবার মহানগর হাকিম আদালতে শুনানি হবে বলে জানান আইনজীবী সুরভী।

গত ৪ অগাস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটকের সময় ওই মালামালগুলো জব্দ করে র‌্যাব।

পরীমনির বাসা থেকে মদ ও মাদক পাওয়ার কথা জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলাও করা হয়। সেই মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।

সেই মামলায় তাকে প্রথমে চার দিন এবং পরে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত ১৩ অগাস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবার ১৯ অগাস্ট আরও এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তারে ক্ষোভ এবং তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে হাই কোর্ট প্রশ্ন তোলার পর ৩১ অগাস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

পরদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন পরীমনি।

নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনি নামে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের পর দুই ডজনের মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

গত মে মাসে ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দেন তিনি। তার করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।