শুক্রবার সন্ধ্যার পর ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরীর দেওয়া এই অভিযোগ থানা গ্রহণ করলেও তা আগে অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি অপমৃত্যু মামলার তদন্ত চলছে। আমরা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এর আগেও কয়েকজন ইভানার স্বামী আব্দুল্লাহ হাসান মাহমুদ রুম্মানের বিষয়ে কিছু ‘ইনফরমেশন’ দিয়েছেন। এগুলোও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
ইভানার বাবার অভিযোগটি মামলা আকারে এ মুহূর্তে নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর যদি হত্যার বা আত্মহত্যার প্ররোচনার কোনো বিষয় থাকে তখন অপমৃত্যূ মামলাটি হত্যা বা আত্মহত্যার মামলায় ‘টার্ন’ নেবে।”
শাহবাগ থানা পুলিশ জানায়, ইভানার বাবার করা অভিযোগে ইভানার আইনজীবী স্বামী রুম্মান ছাড়াও আরও দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার শাহবাগের পাশে পরীবাগের দুটি নয়তলা ভবনের মাঝ থেকে ৩২ বছর বয়সী ইভানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, ইভানা ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের ধারণা।
স্কলাস্টিকা স্কুলের এই কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তার স্বজনরা জানতে পারেন যে আইনজীবী স্বামীর সঙ্গে দুই সন্তান নিয়ে অসুখী এক দাম্পত্যে ছিলেন এই নারী। এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে তারা এমন কথাই বলেন।
ইভানার স্বামী রুম্মান একজন আইনজীবী। ২০১০ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে ছোটটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশু।