এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে স্যার সৈয়দ রোডের একটি নয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় রাসেলের ফ্ল্যাটে তাদের অভিযান শুরু হয়।
তবে কী অভিযোগে সেখানে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি কমান্ডার মঈন।
ইভ্যালিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রাসেল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদেও আছেন। তার স্ত্রী মোছা. শামীমা নাসরিন ইভ্যালির চেয়ারম্যান।
তাদের দুজনেই বাসায় আছেন বলে জানালেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি র্যাব কর্মকর্তারা।
পণ্যের জন্য আগাম অর্থ দিয়ে না পাওয়ার পাশাপাশি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ করা হয় সেখানে।
মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি।
পণ্যের ব্যাপারের ইভ্যালির অফিসে এবং পরে সিইও মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালি এমডি রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি।
আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
পুরনো খবর