তিনি বলেন, “ইভ্যালির অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে কাজ চলছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অগ্রগতি হয়নি। প্রাথমিক অনুসন্ধানের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে অনুসন্ধান টিম।”
ইভ্যালির অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে দুদক ছাড়াও অন্যান্য যেসব সংস্থা তদন্ত করছে তাদের কাজের সঙ্গে দুদকের অনুসন্ধানের সমন্বয় থাকবে বলে জানান আনোয়ার।
তিনি বলেন, “ইভ্যালি নিয়ে শুধু আমরা কাজ করছি না। অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থাটিগুলোর তদন্তের তাদের অগ্রগতি কিংবা যে পদক্ষেপ নিবে, সেগুলোও আমরা অনুসন্ধানে স্বার্থে আমলে নেব।”
তবে এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানের অগ্রগতি ‘বলার মতো’ হয়নি জানিয়ে দুদক সচিব বলেন, “যতটুকু জানি সেগুলো ওই পর্যায়ে যায়নি। ফলে মানিল্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ কিংবা জনগণ বা রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি কতটুকু হয়েছে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী অপরাধ পাওয়া গেলে যাকে প্রয়োজন অনুসন্ধান টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।”
ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহক ও মার্চেন্টেদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল কাজ করছে। তারা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির বিষয়ে গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ পেয়ে গত ৮ জুলাই থেকে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এরপর দিন ৯ জুলাই ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক। এরপর ১৫ জুলাই তাদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেয় আদালত।
পুরনো খবর