যমুনা গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ আলমগীর আলম মঙ্গলবার এক ফেইসবুক পোস্টে বিষয়টি জানান।
তিনি লিখেছেন, “ইভ্যালি আমন্ত্রণ জানানোর পর শুরুতে যমুনা গ্রুপ আগ্রহী হলেও পরবর্তীতে ইভ্যালির দায়-দেনা, ব্যবসায়িক কৌশল, বিক্রয় ও বিপণন কৌশল গভীরভাবে পর্যালোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ করে যমুনা গ্রুপ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ইহা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য অবহিত করা হল।”
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বিশাল অংকের এই দায়দেনার খবর বেরিয়ে আসার পর ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এরই মধ্যে গত ২৮ জুলাই ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল সোশাল মিডিয়ায় খবর দেন, তার কোম্পানিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে যমুনা গ্রুপ।
পরে যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইভ্যালিতে বিনিয়োগের একটি আলোচনা থাকলেও কোনো কিছুই তখনও চূড়ান্ত হয়নি।
যমুনা গ্রুপ শেষ পর্যন্ত ইভ্যালির সঙ্গে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে মঙ্গলবার এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মোহাম্মদ আলমগীর আলম।
তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, “কোটি টাকা বিনিয়োগ করার অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যমুনা গ্রুপ দীর্ঘ সময়ের কষ্টার্জিত অর্থ, সুনাম, মেধা ও সক্ষমতাকে ঝুঁকিতে ফেলতে রাজি নয়। অন্য কোনো কোম্পানিতে যমুনা গ্রুপের অর্থ বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত, এখতিয়ার এবং অধিকার শুধুমাত্র যমুনা গ্রুপের একান্ত বিষয়, এটি কারো অনুরোধে ঢেঁকি গেলার বিষয় নয়।
“অন্য কোনো কোম্পানির কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যমুনা গ্রুপ কোনো দায় অতীতেও নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।”
যমুনা গ্রুপের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইভ্যালির বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলে মোহাম্মদ রাসেল ফোন কেটে দেন।