উন্মুক্ত হল জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় চিত্রশালার ১, ২, ৪, ভাস্কর্য, ৫ ও ৬ নং গ্যালারিতে প্রদর্শনী দেখার সুযোগ মিলবে বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মহামারীর মধ্যে গত ২৯ জুন মাসব্যাপী জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়।

শিল্পকলা একাডেমির ওয়েবসাইটে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই প্রদর্শনী ভার্চুয়ালি দেখানো হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছিলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে শারীরিক উপস্থিতিতেও এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন ১৫ দিনের জন্য সরাসরি এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ২০২১-এর নীতিমালা অনুযায়ী ২১ বছরের ঊর্ধে বাংলাদেশের ৭৮৬ জন শিল্পীর সহস্রাধিক শিল্পকর্মের আবেদন জমা পড়ে। শিল্পকর্ম নির্বাচকমন্ডলী বিভিন্ন মাধ্যমের ৩২৩ জন শিল্পীর ৩৪৭টি শিল্পকর্ম নির্বাচন করেন।

নির্বাচিত এ সকল শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে চিত্রকলা ১৫৭টি, ছাপচিত্র ৫৩টি, আলোকচিত্র ১৭টি, ভাস্কর্য ৪৭টি, প্রাচ্যকলা ১০টি, মৃৎশিল্প ৭টি, কারুশিল্প ২০টি, গ্রাফিক ডিজাইন ৫টি, স্থাপনাশিল্প ১৮টি, নিউ মিডিয়া আর্ট ৭টি, পারফরমেন্স আর্ট ৬টি।

এ বছর প্রদর্শনীতে প্রত্যেকটি মাধ্যমে একটি করে মোট ১১টি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেওয়া হয়।

চারুকলার ১১টি মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন ১১ জন শিল্পী। তারা হলেন স্থাপনাশিল্পে ইমতিয়াজ ইসলাম, চিত্রকলায় রুহুল করিম রুমী, ছাপচিত্রে আনিসুজ্জামান, ভাস্কর্যে কনক কুমার পাঠক, প্রাচ্যকলায় সুশান্ত কুমার অধিকারী, কারুশিল্পে সামিয়া আফরিন, মৃৎশিল্পে রবিউল ইসলাম, গ্রাফিক ডিজাইনে আল মঞ্জুর এলাহী, আলোকচিত্রে আল ইয়াছা ইরফান উদ্দিন, পারফরম্যান্স আর্টে ইফাত রেজোয়ানা রিয়া ও নিউ মিডিয়া আর্টে জিহান করিম। পুরস্কার হিসেবে শিল্পীদের দেওয়া হয় নগদ এক লাখ টাকা, একটি সনদপত্র ও একটি ক্রেস্ট।

সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে পাঁচজন শিল্পীকে। তারা হলেন চিত্রকলায় আবু তারেক কাদিমুল ইসলাম যাদু ও কাজী সাঈদ আহমেদ, ভাস্কর্যে আমিনুল ইসলাম আশিক ও অলক রাজবংশী এবং ছাপচিত্র রফিকুল ইসলাম।

তাদের পুরস্কার হিসেবে নগদ ২৫ হাজার টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বরেণ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পাঁচটি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়।

এর মধ্যে চিত্রকলায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন অভিজিৎ চৌধুরী, চিত্রকলায় শিল্পী কালিদাস কর্মকার সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন রাসেল কান্তি দাশ, ভাস্কর্যে ভাষাশহীদ গাজীউল হক সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মো. তানভীর আহমেদ জয়, স্থাপনায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন প্রমথেশ দাস পুলক ও ছাপচিত্রে শিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন কামরুজ্জামান।