বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৮ দেশের নাগরিকদের মধ্যে যাদের দুই ডোজ টিকা নেওয়া হয়েছে, তাদের এখন ওমানে যাওয়ার পথ খুললো।
Published : 24 Aug 2021, 12:38 AM
তবে সেই টিকা হতে হবে ওমানে অনুমোদিত। ফলে বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা কোভিশিল্ড এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পেয়েছেন, তারাই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএ) এই ১৮ দেশকে গত এপ্রিল থেকে তাদের লাল তালিকায় রেখেছিল। সোমবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর হবে। যেসব দেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও উঠে যাবে।
ওমানের সকল নাগরিক, যাদের ওমানের ভিসা আছে, ওমান ভ্রমণে যাদের ভিসা প্রয়োজন হয় না, আর যেসব দেশের নাগরিকদের ওমানে পৌঁছে ভিসা নেওয়ার অনুমতি আছে, তারা আগের মতই ওমানে যেতে পারবেন।
তবে যাত্রীদের সবাইকে তাদের টিকা সনদ সঙ্গে রাখতে হবে, যেখানে কিউআর কোডে লেখা থাকবে যে তিনি করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
আর ওমান সরকার যেসব টিকার অনুমোদন দিয়েছে, কেবল সেসব টিকার সনদধারীদেরই ওমানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন পর ওমানে যাওয়া যাবে।
ওমান টাইমস সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ১. অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভ্যাক্সজেভরিয়া এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, ২. ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা, ৩. চীনের সিনোভ্যাক, ৪ রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি।
এর সবগুলো টিকাই বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। তবে বাংলাদেশিরা এখন পর্যন্ত পেয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সজেভরিয়ার ও কোভিশিল্ড, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা, চীনের সিনোভ্যাকের টিকা আর যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা।
যে যাত্রীরা কোভিড নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিয়ে যাবেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তবে সেই কোভিড পরীক্ষার সনদ কিউআর কোডের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ওমানে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ ৯৬ ঘণ্টা এবং কম দূরত্বের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।
আর যারা কোভিড নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিয়ে যাবেন না, তাদে হাতে একটি ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ব্রেসলেট পরিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। পিসিআর পরীক্ষায় যতক্ষণ না কোভিড নেগেটিভ হচ্ছে, ততক্ষণ তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।