বুধবার জাতীয় সংসদে এ দাবি তোলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, “দুদিন আগে একটা ঘটনা ঘটল। বোট ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তুরাগ পাড় দখল করে এই ক্লাব করা হয়েছে। পুলিশের আইজি এটার সভাপতি।”
সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এজাহারের আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও বোট ক্লাবের সদস্য।
পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের সঙ্গে বোট ক্লাবের সদস্য শাহ এস আলমকেও ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পরীমনির অভিযোগ, গত ৮ জুন রাতে অমি তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর নাসির তাকে ‘ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা’ চালিয়েছিলেন।
এরপর থেকে আলোচনায় আসে তুরাগ নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঢাকা বোট ক্লাব, যার সভাপতি পদে রয়েছেন পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ।
সংসদে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ পাসের প্রক্রিয়ার সময় সাংসদ হারুন বলেন, “নারীদের কর্মসংস্থান বেড়েছে। কিন্তু কাজে যাওয়ার পথ কতটা নিরাপদ? পথে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর বার্তা দিতে হবে।
“বলা হচ্ছে নারীদের ক্লাবে যাওয়া খারাপ। পুরুষদের খারাপ না? নারীরা মদ্য পান করলে খারাপ বলা হচ্ছে। পুরুষ করলে খারাপ না? দুটোই হারাম।”
রাজধানীতে কলেজছাত্রী মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, “মুনিয়া ব্যাভিচারের শিকার হল। কারা করল? প্রধানমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সমাজের উপর তলার লোকজন এর সঙ্গে জড়িত। তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ১৯ এপ্রিল কলেজ ছাত্রী মোশারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন