নদী পারাপারে আগের দিন বাড়িমুখী মানুষের ঢলের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
Published : 08 May 2021, 02:07 AM
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য শুধু রাতে ফেরি চলবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শুক্রবার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লকডাউনের মধ্যেও আজ পারাপারের জন্য উপচেপড়া ভিড় হয়।
“বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন) মনে করছে, এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই দিনে ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।“
শুক্রবার দিনভর ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা নদীর উভয় ঘাটে ঘরমুখী মানুষ নদী পার হয়েছেন।
যাত্রীদের ভিড় সামলাতে না পেরে অনেক ফেরি কোনো বাহন না নিয়েই গন্তব্যে রওনা হয়। এতে সহস্রাধিক পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জট দেখা দেয় শিমুলিয়া ঘাটে।
আন্তঃজেলা বাস বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিকল্প উপায়ে ঘাটে পৌঁছে ফেরিতে উঠে বসেন।
ঘাটে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের বিষয় একজনের সঙ্গে আরেকজন গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মানুষের ঢলের কারণে অন্য বাহন তোলার সুযোগই ছিল না।
মহামারীর কারণে লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যেও ঈদ সামনে রেখে দিনভর মানুষের বাড়ি ফেরার এমন চাপ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ফেরিতে চাপ বেড়েছে।
লকডাউনে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও জেলার ভেতরে বাস চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট যানবাহন, এমনকি পণ্যের ট্রাক বা পিকআপে চড়েও অনেকে ঢাকার দিক থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়ায় আসছেন পদ্মা পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য।
সকালে ফেরি ঘাটে দিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই লোকজন গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে।
হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে দাঁড়িয়েই পদ্মা পার হচ্ছেন। অন্যদিকে ঘাটের দুই পাড়ে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে আছে।