দুই আসামির একজন হলেন ভবনটির নিচতলার ভাড়াটিয়া মোস্তাফিজুর রহমান (৪২), অন্যজন মোহাম্মদ মোস্তাক (৪৫)।
মোস্তাফিজ মেসার্স মঈন অ্যান্ড ব্রাদার্সের এবং মোস্তফা মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজের মালিক। মুসা ম্যানশনের নিচতলায় তাদের রাসায়নিকের গুদাম ছিল।
মঙ্গলবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা এস আই হেলাল উদ্দিন জানান।
সোমবার ভোরে মোস্তাফিজুর রহমানকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে এবং মোহাম্মদ মোস্তফাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মুসা ম্যানশনে আগুনের মামলায় তারা দুই ও তিন নম্বর আসামি।
গত শুক্রবার ভোরে আরমানিটোলায় ছয়তলা ওই ভবনের নিচতলায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়লে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২১ জন।
এ ঘটনায় মুসা ম্যানশনের মালিক মোস্তফা আহম্মেদসহ আটজনের নামে বংশাল থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী শিকদার। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
ভবন মালিক মোস্তফাসহ মামলার অপর আসামি গাফফার, সাইদ, ফিরোজ, তারেক ও বাপ্পী পলাতক আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মুসা ম্যানশনের মালিক মোস্তফাসহ অন্য ব্যবসায়ীরা ‘তাচ্ছিল্যভরে’ ভবনটির নিচতলাকে দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিকের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও আসামিরা অবৈধভাবে লাভবান হতে আবাসিক ভবনে ‘অবহেলার’ সাথে দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক সংরক্ষণ করায় প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
পুরনো খবর